বাংলাদেশের সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গলে একটি অত্যাধুনিক চা নিলামকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রের ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে ত্রিপুরার চায়ের নিলাম ও বাংলাদেশে ত্রিপুরার চা রপ্তানীর জন্য রাজ্য সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক বীরজিৎ সিনহার আনিত একটি দৃষ্টি আকর্ষনী নোটিশের জবাবে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্যের চা পাতাকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে কলকাতার চা এর নিলাম বাজারে নেওয়ার জন্য ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এবং পরিবহণ দপ্তর যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ কলকাতার নিলাম বাজারে চা পাতা পরিবহণ করার ব্যয় অনেকটা বেশী। বাংলাদেশের মাধ্যমে পরিবহণ করা সম্ভব হলে পরিবহণ ব্যয় অনেক কম হবে।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের (এনইসি) আর্থিক সহায়তায় ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের সিটিপিএফ, দুর্গাবাড়ি ও বিটিপিএফ, ব্রহ্মকুন্ড (সিমনা) চা তৈরীর কারখানাগুলির আধুনিকীকরণ করার জন্য ১১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ডিপিআর তৈরী করে এনইসি’র কাছে পাঠানো হয়েছিল। বিটিপিএফ, ব্রহ্মকুন্ড (সিমনা) চা তৈরীর কারখানার আধুনিকীকরণ করার অনুমোদন পাওয়া গেছে। গ্রামোন্নয়ন দপ্তর আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করবে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, জনজাতি কল্যাণ দপ্তর এবং ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের যৌথ আর্থিক সহায়তায় ঊনকোটি জেলার মাছমারা চা বাগানে একটি মিনি টি ফ্যাক্টরি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগম এই প্রকল্পের কাজ করবে। এর ফলে সংলগ্ন এলাকার ক্ষুদ্র চা চাষি এবং স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, কমলাসাগর, ব্রহ্মাকুন্ড ও দুর্গাবাড়ি চা বাগানস্থিত লজগুলিকে উন্নতমানের তৈরী করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পর্যটন দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে। পর্যটন দপ্তর টি টুরিজমের অন্তর্গত কমলাসাগর চা বাগানস্থিত টুরিস্ট লজকে কেন্দ্র করে লগহাট, কিটস প্লে গ্রাউন্ড, গাড়ি পার্কি, নৌকা বাইচের সুবিধা সহ আধুনিক পিকনিক স্পট তৈরী করার জন্য এনইসি’র কাছে ডিপিআর পাঠিয়েছে।