খোয়াই প্রতিনিধি ২রা জানুয়ারি… খোয়াই পূর্ত দফতরের অধীনস্ত দুটি কাজের বরাত পান আগরতলা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন দীপক নাগ নামে এক ঠিকাদার,উনি খোয়াইতে কোর্ট বিল্ডিং,এবং কুয়াটার কমপ্লেক্সে তৈরীর জন্য কাজের বরাত পান।অন্যদিকে খোয়াই বিমানবন্দরের কাজে বরাত পান কোলকাতার একটি ঠিকাদার সংস্থা।ওই কাজের বরাত পেয়ে ঠিকাদার যথারীতি এই কাজগুলি করার জন্য আগরতলার ঝুটন শুক্ল বৈদ্য নামে এক রাজমিস্ত্রিকে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেন ঠিকাদার দীপক বাবু ও যথাসময়ে শ্রমিকদের মজুরি টাকা প্রদান করে যাচ্ছেন ঠিকাদার নিজে। যথারীতি কাজও চলছিল কিন্তু গত প্রায় এক পক্ষ কাল যাবত রাজমিস্ত্রি ঝুটন শুক্ল বৈদ্য তার তিনটি কাজের জন্য নিয়োজিত ১০-১২ জন শ্রমিকদের কাজের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বারবার ফোন করেও রাজমিস্ত্রি ঝুটন শুক্ল বৈদ্যকে ফোনে পাচ্ছিল না তখন শ্রমিকরা বুঝতে পারে তাদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে ঝুটন শুক্লবৈদ্য।এই বিষয়টি নিয়ে দিন মজুর শ্রমিকরা অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে গত দুই তিন দিন ধরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে জড়ো হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করতে যথারীতি কাজও বন্ধ করে দেন । বেশ কিছুদিন ধরে কাজের টাকা যখন শ্রমিকরা পাচ্ছিল না এবং রাজ মেস্তরি ঝুটন শুক্ল বৈদ্য শ্রমিকদের মজুরীর টাকা প্রদানে তালবাহানা করছিল তখন শ্রমিকরা খোয়াই মহিলা থানাতে ধরে ঝুটন শুক্ল বৈদ্য এর কাছ থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে শ্রমিকরা, যার মধ্যে উল্লেখ করা হয় ওই ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে শ্রমিকদের বকায়া সমস্ত টাকা পরিশোধ করা হবে কিন্তু আজ প্রায় পাঁচ দিন হয়ে গেলও শ্রমিকদের বকায়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়ে দিনমজুর শ্রমিকরা তিনটি কাজই বদ্ধ করে দেয়। শ্রমিকরা জানায় ইতি মধ্যে রাজমিস্ত্রি ঝুটন শুক্ল বৈদ্যের নিকট আত্মীয় আশীষ নামে এক ব্যক্তি শ্রমিকদের কাজের হিসাব-নিকাশ রাখত এবং যখন ঝুটন দিনমজুর শ্রমিকদের কাজের টাকা প্রদান নিয়ে তালবাহানা করছিল তখন আশীষ পালিয়ে যেতে চেয়ে ছিল তখন শ্রমিকরা তাকে ধরে খোয়াই থানাতে নিয়ে যায়। শ্রমিকরা পুলিশ বাবুদের কাছে তাদের বকায়া টাকার কথা জানিয়ে আসেন এবং অনুরোধ করে বলে আসেন যে রাজমিস্ত্রি ঝুটন আসলে শ্রমিকদের জন্য একটু খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আইনের কাছে তাদের হাত পা বাধা যথারীতি পুলিশ ঝুটন কে খবর দিয়ে খোয়াই থানাতে নিয়ে আসে এবং পুলিশের কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে কথা দেন শ্রমিকদের বকায়া টাকা পরিশোধ করা হবে।পুলিশ ঝুটনকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে এই দিকে শ্রমিকরা এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পরে, শ্রমিকরা একটি কথা বলতে থাকে আজই তাদের টাকার প্রয়োজন। অন্যদিকে রাজমিস্ত্রি ঝুটন নিরীহ দিনমজুর শ্রমিকদের হুমকিও প্রদান করতে থাকে শ্রমিকদের বকায়া টাকা প্রদান করা হবে না ও তাদেরকে মারধর করা হবে। আজ তিনটি কাজ বন্ধ করে শ্রমিকরা খোয়াই থানার পুলিশ বাবুদের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন এবং তৎক্ষণাৎ খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন পরবর্তীতে দিনমজুর শ্রমিকরা অনেকটা শান্ত হয়। এখন দেখার বিষয় শ্রমিকদের বকায়া টাকা প্রদানে পুলিশ প্রশাসন এবং তিনটি কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার দীপক বাবু কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এই ধরনের গরীব শ্রমিকদের টাকা মেরে খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেক লেবার শ্রমিক নেতাদের যার ফলে বিভিন্ন জায়গাতে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে নির্মাণ কাজের নেতাদের জন্য হয়রানির শিকার হতে হয়। সেই জায়গায় যদি ঠিকাদাররা সঠিক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সেই শ্রমিক নেতাদের বাড়বাড়ন্তের কারণে কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটবে তেমনি শ্রমিকরা আন্দোলনে বসবে এতে উভয় পক্ষেরই ক্ষতি বলে মনে করেন অনেকে।