তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বে পুর পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার জনৈকা প্রিয়াঙ্কা ভৌমিক সন্তান সম্ভাবনা ছিলেন। আরো জানা গেছে হতদরিদ্র প্রিয়াংকার আগেরও দুই সন্তান রয়েছে, কিন্তু কোন কারনে তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক বর্তমানে না থাকার কারণে সে বর্তমানে দুই অবুঝ সন্তান সহ মায়ের বাড়িতেই থাকে এবং তার মা অতি সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। এদিকে গতকাল প্রসব বেদনা শুরু হলেও প্রিয়াঙ্কা অজ্ঞাত কারণে সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই তার কোন এক নিকট আত্মীয়ের দ্বারা রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা নাগাদ প্রসব করায়। প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য অনুযায়ী সন্তান প্রসবের পর সে দেখতে পায় সে একটি মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। এরপরের ঘটনা রীতিমত রোমহর্ষক। কোনো এক অজানা কারণে সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে চেপে দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা এবং তার সেই নিকট আত্মীয় মিলে রাতের আঁধারেই বাড়ীর অনতি দূরে মৃত শিশু কন্যাকে মাটিচাপা দিয়ে দেয় বলে প্রিয়াঙ্কার দাবি, কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই প্রিয়াঙ্কা এবং তার নিকট আত্মীয় আরও আশ্চর্যজনকভাবে সংশ্লিষ্ট মৃতদেহটি পার্শ্ববর্তী খোয়াই নদীর জলে ভাসিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে খোদ প্রিয়াঙ্কা। এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনা আঁচ করতে পেরে এলাকাবাসীরা যখন প্রিয়াঙ্কাকে চেপে ধরে তখন প্রিয়াঙ্কা গর গর করে সবকিছু বলে দেয়। পাশাপাশি সে এটাও দাবি করে তার পরিকল্পনা ছিল সন্তান জন্মের পরেই গোলাবাড়ি এলাকার জনৈক ব্যক্তির কাছে তার সন্তানটি’কে সে দিয়ে দেবে, যারা তার গর্ভকালীন অবস্থায় যাবতীয় দেখভাল করেছে বলেও জানা গেছে। চাঞ্চল্য জনক এই ঘটনার খবর এলাকাবাসী সূত্রে পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শেষ সংবাদ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়ঙ্কার সেই নিকট আত্মীয় যার সহায়তায় অবৈধভাবে সন্তান প্রসব এবং এর পরবর্তী সময়ে বাচ্চার দেহকে গায়েব করার মত কার্য সম্পন্ন হয়েছে তাকে পুলিশ তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। চাঞ্চল্যজনক এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তেলিয়ামুড়া জুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।।