তিথি অনুযায়ী মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। দূর্গা পূজার সমাপ্তি। এদিন থেকেই শুরু হল প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ। সকালে মণ্ডপে মন্ডপে দশমী পূজা শেষ হবার পর মহিলারা সিঁদুর খেলা সম্পন্ন করতেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা নিরঞ্জনের তৎপরতা। যদিও সেই তৎপরতা শুধুমাত্র বাড়িঘরে অনুষ্ঠিত পুজোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অধিকাংশ ক্লাবে এখনো রয়ে গেল প্রতিমা। বিগত দিনের মতো এবারও আগরতলা দশমি ঘাটেই অধিকাংশ পূজো মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। তার জন্য আগে থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতি নেয় আগরতলা পৌরনিগম। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে ক্লাবগুলি যাতে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, তার জন্য পৌরনিগমের তরফে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পৌরনিগম প্রচুর সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে দশমিঘাটে। প্রয়োজনে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে ক্রেন।এছাড়াও প্রশাসনিকভাবে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই দশমীঘাটে শুরু হয় একে একে প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া। পৌর নিগমের কর্মীরায় সম্পন্ন করছেন বিসর্জনের কাজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা ও পৌরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদারের উপস্থিতিতেই শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।