সোমবার বিশ্ব ডাক দিবস।১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডের বের্ন শহরে বিশ্ব ডাক সংস্থার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণ করে প্ৰতি বছর ৯ অক্টোবর গোটা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় এই দিনটি।ডাক সেবার প্রচার এবং প্রসার এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারতীয় ডাক বিভাগ ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় ডাক সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উপলক্ষে রাজ্য ও মিজোরাম নিয়ে ঘটিত উত্তর-পূর্ব-১ অঞ্চলের অধীনে ডাক সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তি বাজার টাউনহলে ডাক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার জনগণের তথ্য ও সচেতনতার জন্য ডাকঘরে বিভিন্ন প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হবে। বীমা ,মেল ,পার্সেল পণ্যের মতো বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। ১১ অক্টোবর বিভিন্ন স্কুলে স্টাম্পের ডিজাইনের উপর কুইজ অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর মেল এবং পার্সেল দিবস উদযাপন করা হবে ।১৩ অক্টোবর পালিত হবে অন্তোদয় দিবস। মূলত গ্রামীণ এলাকার জনগণের মধ্যে আর্থিক সাক্ষরতার প্রসারের জন্য অন্তোদয় দিবস পালন করা হবে। এদিন পোস্ট অফিস চৌমুহনীস্হিত আগরতলা প্রধান ডাকঘরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরা ও মিজোরাম নিয়ে ঘটিত উত্তর-পূর্ব-১ অঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল জোসেফ লাল ঋণ সেলুভা এই সংবাদ জানিয়েছেন।সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো জানান ,ডাক পরিষেবা কে মানুষের কাছে আরো বেশি করে পৌছে দিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সমস্ত জেলা সদর দপ্তরে ডাকঘর নিয়ত কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে। ত্রিপুরায় ৪টি ও মিজোরামে ৫টি ডাকঘর নিয়ত কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য বিভিন্ন ডাকঘর নিয়ত কেন্দ্রের মাধ্যমে বহি রাষ্ট্রের পাঠাতে পারেন। বর্তমানে এর মাধ্যমে রাজ্যের কিছু রপ্তানি কারকরা বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রে তাদের পণ্য পাঠাচ্ছেন।