রাজ্যে নেশার রমরমা কারবার চলছে। আর এই নেশায় আসক্ত হয়ে এখন ধ্বংসের মুখে রাজ্যের যুবসমাজ। সেটা বিষাক্ত হিরোইন, ড্রাগস হোক কিংবা রাজ্যে উৎপাদিত গাঁজায় হোক না কেন। বহির রাজ্য থেকে একদিকে যেমন রাজ্যে প্রবেশ করছে বিষাক্ত ড্রাগস হিরোইন এর মত নেশা, ঠিক তেমনি আবার অন্যদিকে রাজ্য থেকে বহির রাজ্যে প্রচার হচ্ছে গাঁজা। আরক্ষা প্রশাসনের একাংশ কর্মীর যোগসাজশেই চলছে এই নেশার রমরমা কারবার। এমনটাই অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের। প্রশাসন নেশা কারবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও, কিছুতেই যেন লাগাম টানতে পারছে না। বরং দিন রাজ্যে বেড়ে চলেছে নেশার কারবার। নিত্য নতুন অভিনব কৌশলে এই পাচার বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে নেশা কারবারিরা। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো যে, এই নেশা কারবারে একাংশ মহিলাদের ব্যবহার করছেন নেশা কারবারের মূল মাস্টার মাইন্ডরা। তা আরো একবার প্রমাণিত হলো গাঁজাসহ চার মহিলা পুলিশের জালে ধরা পড়ার ঘটনায়। রেল পথে করে বহির রাজ্যে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে এবার আটক হল চার চারজন মহিলা। ঘটনা রবিবার দুপুরে আগরতলা শহরতলী যোগেন্দ্রনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এদিন রাজধানীর কলেজ টিলা ফাড়ি থানার ওসি শ্যামল দেবনাথের নেতৃত্বে পুলিশ যোগেন্দ্রনগর রেল স্টেশনের বাইরে থেকে সন্দেহজনকভাবে চার মহিলাকে আটক করে। পরে তাদেরকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে বেশ কিছু পরিমাণ গাজা। আটককৃত গাঁজার পরিমাণ ২২ কেজি। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। ধৃত চার মহিলার বাড়ি বিহারে। বিহারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবার পথেই পুলিশের জালে গাঁজাসহ ধরা পড়ে এই মহিলারা। এই গাঁজা পাচারকারীদের সাথে কারা যুক্ত তা চিহ্নিত করতে ধৃতদের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হবে বলে জানালেন পূর্ব থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রানা চ্যাটার্জী। এখন দেখার বিষয় এই পাচারকারীর মূল পাণ্ডাদের ধৃতদের জবানবন্দি মূলে কতটুকু জালে তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ।