সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে পূজার কাউন্টডাউন। বিগ বাজেটের ক্লাব গুলিতে চলছে আকর্ষণীয় প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ। বিগত দিনের মতো এবারও রাজধানী আগরতলার বেশ কয়েকটি ক্লাব। পুজোর দিনগুলিতে রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী শামিল করতে তৈরি করছেন নিত্য নতুন থিমে আকর্ষণীয় মন্ডপ। তবে রাজ্যের মাটিতে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই শারদীয়া উৎসব মানে উষা বাজারের ভারতরত্ন সংঘ। প্রতিবছরই অন্যান্য ক্লাবগুলিকে টেক্কা দিয়ে আকর্ষণীয় প্যান্ডেল নির্মাণ করে থাকে ভারতরত্ন সংঘের কর্মকর্তারা। মূলত উষা বাজারের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ভারতরত্ন সংঘ প্রতিবছর হিন্দু সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিখ্যাত মন্দির তাদের পূজো মন্ডপে ফুটিয়ে তোলে। আর তা উপভোগ করতে আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী আসেন এই ভারতরত্ন সংঘের পুজো মন্ডপে। এবছরও যেন তার ব্যতিক্রম হবে না।এবছর তাদের থিম হচ্ছে গুজরাটের নীলকন্ঠ ধাম মন্দির। নীলকন্ঠ ধাম একটি চোখ ধাঁধানো, কল্পনাপ্রসূত এবং দর্শনীয় মন্দির। মন্দিরটি যেখানে অবস্থিত তা এক কথায় অপূর্ব। নর্মদা নদীর পবিত্র জলরাশি, পাহাড়ের গোলকধাঁধা, নানা রকমের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ, সবুজ ও সবুজ বাগান, পাহাড় ও উপত্যকা, ঘাসের মাঠ, সুগন্ধি ফুলের গাছপালা, আর কী না যা অনায়াসে আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারে। এবছরের পুজো মণ্ডপে পুরো মন্দিরটাই তুলে ধরবে ভারতরত্ন সংঘ। যা কাল্পনিক রূপ হলেও, তা উপভোগ করতে নিঃসন্দেহভাবেই দর্শক সমাগম হবে যে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতরত্ন সংঘের এবার পূজোর বাজেট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। মন্ডপ সজ্জায় রয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পীরা। প্রতিমা শিল্পী আগরতলা আর্ট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এমনটাই জানালেন ক্লাবের সম্পাদক প্রভাকর ঘোষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। দর্শনার্থীদের আকর্ষণীয় প্যান্ডেল উপহার দেওয়া ছাড়াও পুজো উপলক্ষে এবারও রয়েছে নানা সামাজিক কর্মকান্ড সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। সব মিলিয়ে বিগত দিনের ঐতিহ্য এবারও ধরে রাখতে মরিয়া ভারতরত্ন সংঘের কর্মকর্তারা।