তেলিয়ামুড়া থানার সুদক্ষ ও.সি সুব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকায় ফিরে আসাতেই স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে জাতীয় সড়কের পাশে ফেলে রাখা এক অচৈতন্য গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসাতেই পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জনগণ। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন মগবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার।
সংবাদে জানা যায়, পারিবারিক কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে বেধড়ক মারধর করে স্বামী রিফু চাই মগ তার স্ত্রী শম্ভু লক্ষ্মী দেববর্মাকে। এমনকি এক সময় তার দুই সন্তানকে কাছে রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্ত্রী শম্ভু লক্ষ্মী দেববর্মাকে। দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় জাতীয় সড়কের পাশে বেধড়ক মারধরের যন্ত্রণা নিয়ে পড়ে থাকে। শম্ভু লক্ষী দেববর্মার ব্যাথার যন্ত্রণা কাতর হয়ে পড়ে থাকলেও কোন স্ব-হৃদয় ব্যাক্তি পাশে এসে দাঁড়ায়নি। এই খবর জানতে পেরে তেলিয়ামুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ বাহিনী তেলিয়ামুড়া থানাধীন মগবাড়ি এলাকায় ছুঁটে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তী তার উদার মানসিকতার পরিচয় দেয়। ঘটনাস্থল থেকে শম্ভু লক্ষ্মী দেববর্মাকে তড়িঘড়ি তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। বর্তমানে মহিলার চিকিৎসা চলছে তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাসপাতালে। এদিকে মহিলার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে স্বামী রিফু চাই মগকে আটক করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে তেলিয়ামুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তীর এহেন ভূমিকায় শুভ বুদ্ধি মহল সহ এলাকাবাসীদের মধ্যে পুলিশের ভূমিকায় প্রশাংসা’র জোয়ার। অভিমত, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তীর মতো সৎ মানসিক ভাবমূর্তি নিয়ে পুলিশ যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন করে তবে জনগণদে’র মধ্যে পুলিশের মর্যাদা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে।



