প্রতিনিধি খোয়াই ২২ শে মে….রবিবার সকালে খোয়াই তাঁত চৌহমুনি এলাকায় খোয়াই নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসে এক নাতি ও নাতনি সহ এলাকার আরেকটি শিশু সহ তিনজনের।সেই পরিবারগুলির সাথে দেখা করে সমবেদনা জানাতে আসলেন বিজিপি দলের বলিষ্ঠ নেতা সুবল ভৌমিক সোমবার দুপুর দুইটায় । রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ দাদু গোপাল দাসের সাথে খোয়াই নদীতে স্নান করতে গিয়ে গোপাল দাসের বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ে দুই সন্তান সপ্তদ্বীপ নম , মৌটুসী দাস সহ পাশের বাড়ির বাবলি রায় নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল। সুবল ভৌমিক প্রথমে গোপাল দাসের বাড়িতে গিয়ে গোপাল দাসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে এই পরিবারগুলোকে কোন ধরনের সাহায্য করা যায় কিনা সে বিষয়ে খোয়াই মহকুমা শাসক বিজয় সিনহার সাথে ফোনে কথাবার্তা বলেন যাতে কোন ধরনের সাহায্য করা যায়। এরপর গোপাল দাসের পাশের বাড়ি রণজিৎ রায়ের সাথে দেখা করেন এদেরকে সান্তনা দেন এরপর তিনি তাদের বাড়ির পাশে যেখানে শিশু গুলি খোয়াই নদীর জলে ডুবে মারা গিয়েছিল সেই ঘটনাস্থলটিও পরিদর্শন করেন শেষে তিনি বলেন এ ধরনের ঘটনা খোয়াই কেন সারা রাজ্যে ঘটেনি এই ঘটনার সমস্ত রাজ্যবাসী হতবাক। তিনি এও বলেন এই পরিবার গুলিকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঈশ্বরের উপর কারোর হাত নেই সেই তিনটি শিশু ঈশ্বরের কোলে ঘুমিয়ে আছে তবু এ পরিবার গুলির প্রতি সমবেদনা রইল যাতে ঈশ্বর তাদেরকে মনোবল দেন। এলাকা সূত্রে এটিও জানা যায় দাদু গোপাল দাসের ছেলের ঘরে নাতনির বর্তের অনুষ্ঠান ছিল শনিবার তাকে কেন্দ্র করে গোপাল দাসে দুই মেয়ের পরিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিল তারমধ্যে গোপাল দাসের বড় মেয়ে যাকে বিয়ে দিয়েছিল তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মোহর ছড়া গ্রামের বাসিন্দা মহাপ্রভুর দাসীর সাথে আজ থেকে ১০ বছর আগে এই মহাপ্রভু দাসের অর্থাৎ গোপাল দাসের বড় মেয়ের প্রথম কন্যা সন্তান এই বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে এসে তাদের বাড়ির পুকুরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল এরপর থেকে গোপাল দাসের বড় মেয়েকে জামাই মহাপ্রভু দাস বিগত ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে পাঠাননি কিন্তু শালা রাজীব দাসের মেয়ের বর্তের অনুষ্ঠানের কথা শুনে মনের বিরুদ্ধে গিয়ে বাধ্য হয়ে মহাপ্রভু দাস উনার মেয়ে ও স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন কিন্তু সেই ১০ বছর পুরনো ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলো মহাপ্রভু দাশের ১২ বছরের মেয়ে মৌটুসী দাসের সাথে এই বাড়িতে এসে আবার জলে পড়ে মৃত্যু। এক কথায় গোপাল দাস তার বড় মেয়ে এবং মেয়ের জামাই মহাপ্রভু দাসের দুটি মেয়ে একই বাড়িতে একই কারনে মৃত্যু হল। প্রথম মেয়ের মৃত্যুর পর মহাপ্রভু দাস স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠাইনি এই ভয়েই আর সেই ভয়টাই বাস্তবে পরিণত হলো দ্বিতীয় মেয়ে মৌটুসী দাসের সাথে পরপর একই ধরনের ঘটনায় মহাপ্রভু দাসের পরিবারের কি ধরনের শোকের ছায়া নেমে আসতে পারে তা কল্পনাতীত। সোমবার দুপুরে সুবল ভৌমিকের সাথে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য রমেন সাঁওতাল, খোয়াই মন্ডলের সহ-সভাপতি প্রণব বিশ্বাস,রামচন্দ্র ঘাটের মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ খোয়াই মন্ডলের বিভিন্ন কার্যকর্তারা।



