Friday, November 14, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদবেরাতে এসে দাদুর সাথে খোয়াই নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু...

বেরাতে এসে দাদুর সাথে খোয়াই নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর । ঘটনা খোয়ায় তাঁত চৌহমুনি এলাকাতে।

প্রতিনিধি খোয়াই রবিবার সকাল ১১ টায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় খোয়াই তাঁত চৌহমুনী এলাকা জুড়ে শোখের ছায়া নেমে আসে নদীর জলে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর কারণে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় রবিবার সকাল 11 টা থেকে সাড়ে এগারোটা নাগাদ এলাকার বাসিন্দা গোপাল দাস নিজের দুই মেয়ের ঘরের নাতি এবং নাতনি সহ এলাকার অন্য দুটি শিশু সহ পহর মুড়া ব্রিজ সংলগ্ন খোয়াই নদীতে স্নান করতে যান। আর তখনই খোয়াই নদীর জলে চারটি শিশু স্নান করতে গিয়ে ডুবে যায় এর মধ্যে একটি শিশুকে বাঁচাতে পারলেও বাকি তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়। জানা যায় গোপাল দাসের ছেলের ঘরের কোন এক সন্তানের শনিবার দিন বর্তের অনুষ্ঠান ছিল তাকে কেন্দ্র করে গোপাল দাসের দুই মেয়ের পরিবারের লোকেরা অনুষ্ঠানের যোগ দিতে আসে এরমধ্যে এক মেয়েকে বিয়ে দেন বিশালগড এলাকার বাসিন্দা বাপি নম্বর সাথে এই বাপি নম: এর সাত বছরের ছেলে সপ্তদ্বীপ নম জলে ডুবে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে আরেক মেয়েক বিয়ে দেন মোহর ছড়া নিবাসী মহাপ্রভু দাসের সাথে উনার 12 বছরের মেয়ে মৌটুসী দাস ও জলে ডুবে মৃত্যু হয় পাশাপাশি দাদু গোপাল দাসের বাড়ির পাশের রঞ্জিত রায়ের নয় বছরের মেয়ে বাবলি রায়ও জলে ডুবে মৃত্যু হয়। তিন মৃত শিশুর সাথে খোয়াই নদীর জলে নেমেছিল এলাকারই আরেকজন ছয় বছরের শিশু অয়ন দাস যদিও অয়ন দাস কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বাকি তিন শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি। জলে ডোবার ঘন্টাখানেক পর বাবলি রায় এবং সপ্তদ্বীপ নম কে এলাকাবাসী নদী থেকে উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে এর দেড় ঘন্টা পর মৌটুসী দাস কে নদীর বোল্ডারের ভিতর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে যদি চিকিৎসক নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন শিশুদেরকে বাঁচাতে কিন্তু তাদের কাছে পৌঁছানোর আগেই শিশুরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে একসাথে তিনটি শিশুর মৃত্যুতে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক এবং সেবিকারাও ব্যাপক মর্মাহত হয়ে পড়েন। গোপাল দাসের ছেলে রাজীব দাস সপ্তদ্বীপ নম ও মোটুসী দাসের মামা। ওরা মামার বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে ।মামা রাজীব দাস এক ভাগ্নি ও এক ভািগিনাকে হারালো অন্যদিকে রাজীব দাসের দুই বোনও দুটি সন্তান হারালো আর মামার বাড়ির জন্য চিরদিনের একটি কলঙ্ক গেঁথে রইলো। শিশু গুলি যখন জলে ডুবে ছিল তখন এলাকার যুবকরা কয়েক ঘন্টা জলের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করলেও তাদের বক্তব্য কিছু বালু মাফিয়া নদীর ওই এলাকা থেকে মোটরের সাহায্যে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে যার ফলে নদীর ওই স্থানটিতে জলে গভীরতা ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে যায়। আর যার ফলে শিশুগুলি জলে নামতেই ডুবে গিয়ে মারা যায়। এলাকাবাসীর বক্তব্য বালু তোলার আগে স্থানটিতে এত পরিমাণ গর্ত ছিলনা যার ফলে ডুবন্ত শিশুদেরকে খুঁজিতে গিয়ে উদ্ধারকারী দলের প্রচন্ড বেগ পেতে হয়েছে আর তাতে করে সময় বেশি লাগার কারণে শিশুগুলিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি। এই ঘটনার পর শিশু গুলির আত্মীয় পরিজন যখন খোয়াই জেলা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে কাঁদতে থাকে তখন হাসপাতালে পরিস্থিতি ছিল খুবই বেদনাদায়ক অন্যদিকে মৃত শিশু গুলির মামার বাড়ির এলাকা জুড়ে আত্মীয় পরিজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। শেষের মৃত তিনটি শিশুর ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দিলে শিশুদেরকে নিয়ে যখন শিশু দাদুর বাড়িতে বা মামার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বিকেলে ওই এলাকার পরিবেশের দৃশ্য ছিল খুবই মর্মান্তিক যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা খোয়াই বাসি কখনো প্রত্যক্ষ করেনি এমনকি একই সাথে আপন দুই বোনের সন্তানের মৃত্যু জলে ডুবে তাও শুনিনি এই ঘটনা ছিল খোয়াইবাসীর জন্য এক বিড়াল ঘটনা। এই শিশু গুলির মৃত্যুর ঘটনায় খোয়াই মহাকুমার প্রত্যেকটি মানুষের মনে দাগ কেটেছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twelve + 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য