মঙ্গলবার দুপুরে খোয়াই নতুন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো খোয়াই জেলা ভিত্তক যুব উৎসব। এই যুব উৎসবের উদ্বোধন করেন সাংসদ রেবতি কুমার ত্রিপুরা। এদিন যুব উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ রেবতি কুমার ত্রিপুরা বলেন আসন্ন কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশ হিসেবে ভারত বর্ষ গড়ে উঠবে । চারিত্রিক গঠন এবং প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে যারা আজকের ছাত্রছাত্রী তারা হয়ে উঠবে দেশের সুনাগরিক ও দেশের সম্পদ। তারাই আমাদের দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। মানব সম্পদ হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। যে দেশ যত বেশি শিক্ষিত হবে সেই দেশ হবে তত শক্তিশালী হবে। তাই প্রত্যেকের জীবনে একটা পরিকল্পনা কিংবা লক্ষ্য থাকা চাই। যেমন কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক, কেউবা পুলিশ অফিসার, টিসিএস অফিসার কিংবা রাজনীতিবিদ হবে কেউবা আই এ এস। পরিবার সমাজ এবং দেশহিতের জন্য নিজেদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে তুলতে হবে প্রত্যেককে। আর তার জন্য উপযুক্ত স্থান হচ্ছে নেহরু যুব কেন্দ্র। মঙ্গলবার খোয়াই নতুন টাউনহলে নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত খোয়াই জেলাভিত্তিক যুব উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে এ কথাগুলি বলেন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা। এদিন প্রদীপ প্রজ্জালন করে জেলাভিত্তিক যুব উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা বলেন পূর্বে ত্রিপুরাকে কেউ চিনত না, জানতো না। কয়েক বছর হয়েছে ত্রিপুরা তার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়ে সমগ্র ভারতবাসীর হৃদয়ে এক সম্মানের স্থান দখল করে নিয়েছে পাশাপাশি জি ২০ সম্মেলনের কারণে সমস্ত বিশ্ববাসীর ত্রিপুরা কে চিনেছে। এছাড়া পর্যটনের ক্ষেত্রেও বহি রাজ্যের মানুষদেরকে আকৃষ্ট করছে ত্রিপুরা বিভিন্ন পর্যটন স্থান গুলি। ভ্রমণ পিপাসুরা ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রগুলি ঘুরে আনন্দ উপভোগ করার জন্য ছুটে আসছে এই রাজ্যে। আর দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সমাজ , রাজ্য এবং দেশকে এবং যুব সমাজের একটি অংশকে নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে যুব সমাজকেই।পড়াশোনার পাশাপাশি চারিত্রিক গঠন ও প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে নিজেকে একজন আদর্শবান দার্শনিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশ অগ্রগতির দিকে ধাবিত হবে। এই দিন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন ওয়াই কে এস এর রাজ্য অধিকারতা জবা চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা শাসক সুভাষ সাহা, খোয়াই মহাকুমা শাসক বিজয় কুমার সিনহা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সূত্রধর, খোয়াই জেলা শিক্ষা আধিকারিক দীনেশ দেববর্মা। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব পুরস্কার প্রাপক সুব্রত বিশ্বাস প্রমূখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে প্রসরা সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন স্টল গুলি পরিদর্শন করেন সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত অতিথিবৃন্দরা। এই যুব উৎসবে প্রথমার্ধ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল।



