উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গড়ে তোলা বিদ্যালয়টি বিদ্যালয় পরিদর্শকের পরিদর্শনের অভাবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। অভিমত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সহ ছাত্রছাত্রীদের। ঘটনা তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীন রূপাছড়া এলাকার ইংরেজি মাধ্যমে বিদ্যালয় তথা সুদ্দ করকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে। রূপা ছড়া এলাকার উপজাতি অংশের মানুষদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল বিদ্যালয়টি। যাতে ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার অনুকূল আলো মধ্য দিয়ে জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন করতে পারে। বিগত কিছুদিন পূর্বে সুদ্দ করকরি বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের পঠন-পাঠন বাংলা মাধ্যম থেকে ইংরেজি মাধ্যমে করা হয়েছে। সুদ্দ করকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৩০ জন। শিক্ষকের সংখ্যা তিন(৩) জন। আর এই তিনজন শিক্ষকদের মধ্যে সব শিক্ষকই ইংরেজি মাধ্যম নিয়ে পড়াশোনা করেননি। সবাই বাংলা মাধ্যম নিয়ে পড়াশোনা করেছে বলে জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সঠিকভাবে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । তিনি আরোও জানান,,, বিদ্যালয়ে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। সময় মতন পানীয় জল পাওয়া যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করে জানান। মিড ডে মিলের রান্না করতে ভগ্ন দশা পরিণত হওয়াতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মিড ডে মিল রান্না করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান,,, বিদ্যালয়ের মধ্যে কোন বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার কারণে বিপদ সংকুল এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে এসে অবসর সময়ে খেলাধুল পঠন পাঠন করতে হচ্ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আঁচ রয়েছে বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার কারণে। বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষের ওয়াল ভগ্না দাসের পরিণত হয়েছে। বর্তমানে একই শ্রেণিকক্ষের মধ্যে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পর্যন্ত দুটি ভাগে ভাগ করে পঠন-পাঠন চলছে বিদ্যালয়ে। শিক্ষকের দাবি সহ স্কুলের ভগ্নর দশা দূরীকরণের লক্ষ্যে বারবার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের জানানো হলেও কাজের কাজ অশ্বদিম্ব। এদিকে বিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানান,, দাবদাহ গরমের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এমনকি অনেক ছাত্র-ছাত্রী দাবদাহ গরমের মধ্যে বিদ্যালয়ের মুখি হতে নারাজ। ছাত্রটি আরো জানায়, প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন হয় না। ফলে শিক্ষার আলো পিছিয়ে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিকে সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু তৎকালীন সিপিআইএম নেতাদের দৌলতে স্কুলে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি এমনতেই অভিযোগ রয়েছে অত্র এলাকার অভিভাবক অভিভাবিকা মধ্যে। তবে বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা কাটিয়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।



