সাম্প্রতিক অতীতে ত্রিপুরা রাজ্যে বেশ কয়েকটা রেল সংক্রান্ত দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, অসাবধানতা বশত রেল দুর্ঘটনা বা রেল থেকে পরে দুর্ঘটনার মত ঘটনাগুলো সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে কোন প্রকারের ভূমিকাই গ্রহণ করছেন না বলা চলে। অধিকাংশ সময় দেখা যায় বিরাট সংখ্যক রেল যাত্রীরা রীতিমতো বাদর ঝোলা হয়ে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে যাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে। আবার এটাও দেখা যায় সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে বৈধ টিকেট কাটার পরেও একটা অংশের যাত্রীরা রেলের মধ্যে ঠিকভাবে উঠতে যেমন পারছেন না, আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাদুর ঝোলা হয়ে যেতেও বাধ্য হচ্ছেন, প্রায় সময় রেলস্টেশন চত্বরে রেল আসার পরে এই হলুস্থুল কাণ্ডের জেরে অনেকেই অল্পবিস্তর আহত যে হচ্ছেন না এমনটাও কিন্তু দাবি করা যায় না। গোটা বিষয় নিয়ে তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন চত্বরে যাওয়ার পর দেখা গেছে কর্তব্যরত পুলিশ বাবুরা যারা রয়েছেন তারাও অকপটে স্বীকার করছেন মানুষ বাঁদর ঝুলো হয়ে যাচ্ছেন কিংবা আসছেন, আবার এটা দাবি করতেও দ্বিধাবোধ করছেন না বাঁদর ঝুলু হয়ে মানুষকে রেলে উঠিয়ে দিতে পুলিশ বাবুরাও নাকি সাহায্য করছেন। স্টেশন চত্বরে দায়িত্বে থাকা জিআরপির পুলিশ কর্মীদের এই প্রকারের দাবি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তাহলে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে পুলিশের প্রচ্ছন্ন মদতেই রেল থেকে পড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার মত ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে না তো?
সংশ্লিষ্ট স্টেশনে অবস্থানরত একাধিক যাত্রীর সাথে কথা বললে তারা অনেকটাই ক্ষোভের সাথে জানান প্রয়োজনীয় টাকার বিনিময়ে টিকিট কাটলেও রেলে অনেক সময় ওঠা যায় না, কিংবা উঠতে গেলে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত অথবা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও দেখা দেয়। দাবি উঠছে রেলগুলোর মধ্যে যাত্রি ভির এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক সংশ্লিষ্ট বিভাগ, এর পাশাপাশি রেল স্টেশন গুলোর মধ্যে রেল আসার পরে এই যে অহেতুক দৌড়ঝাপ শুরু হয় এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা আরো বেশি দক্ষতার নজির তৈরি করুক এমনটাও কিন্তু দাবি উঠছে।।



