একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা রয়েছে। এই কারণেই, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডঃ) মানিক সাহা আজ রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত মা ও শিশুর হোমিওপ্যাথিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর রাজ্য স্তরের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন করার পরে। , আগরতলা। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। রাজ্যের নাগরিকরা এখন এক ছাদের নিচে হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক এবং অ্যালোপ্যাথি স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। একটি ভাল জীবনধারা মানে রোগের সম্ভাবনা কম। উল্লেখ্য যে আয়ুশ কমিউনিটি হেলথ অফিসাররাও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই কর্মসূচিতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং আশা কর্মীদের সংবর্ধিত করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হোমিওপ্যাথিক স্বাস্থ্যসেবায় কৃতিত্বের জন্য অবসরপ্রাপ্ত ৫ জন হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের সবাইকে সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে একটি সচেতনতা ভিত্তিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব ডাঃ দেবাশীষ বসু ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ শুভাশীষ দেববর্মা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টর প্রফেসর (ড.) এইচ পি শর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন পরিচালক শুভাশীষ দাস। ধন্যবাদ ভোট প্রদান করেন পরিবার কল্যাণ ও প্রতিরোধমূলক ওষুধের পরিচালক ডাঃ সুপ্রিয়া মল্লিক।



