অ-ব্যাবস্থা, গাফিলতি আর সার্বিক ক্ষেত্রে দূর্বলতার নজির স্থাপন করে তেলিয়ামুড়া’তে উদ্বোধন হলো তিন দিবসী’য় রাজ্য ভিত্তিক অনূর্ধ ১৪ এবং ১৭ বালক বালিকা বিভাগের দাবা প্রতিযোগিতার আসর। তেলিয়ামুড়ার কবি নজরুল বিদ্যাভবন দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে আয়োজিত এই দাবা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘিরে প্রথমে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও একটা সময় সেই উৎসাহ হতাশায় পরিণত হয়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড়-দু ঘন্টা পর মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে রাজ্যভিত্তিক এই দাবা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়িকা তথা মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, এই পর্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়ার মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, ভাইস-চেয়ারম্যান মধুসূদন রায় প্রমুখ। রাজ্যভিত্তিক এই দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে আলোচনায় অংশ নিয়ে শ্রীমতি কল্যাণী সাহা রায় সার্বিকভাবে এই প্রতিযোগিতার সফলতা কামনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন,, এই সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকার দাবা সহ সমস্ত প্রকারের ক্রীড়াক্ষেত্রের মান উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছেন। মানব জীবনকে সুগঠিত করার প্রশ্নে যেহেতু খেলাধুলার বিশেষ অবদান রয়েছে, তাই ক্রীড়া ক্ষেত্রকে আর ও বিকষিত করার প্রশ্নে সরকারের পাশাপাশি সমস্ত অংশকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান কল্যাণ সাহা রায়।
এখানে উল্লেখ্য তিন দিবসীয় রাজ্যভিত্তিক এই দাবা প্রতিযোগিতায় মোট আটটি জেলার ১৭৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে। যারা এই দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এসেছেন তারা সার্বিক অ-ব্যাবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেও অন ক্যামেরায় মুখ খুলতে চাইছে না। অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ হচ্ছে,, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা বাথরুমের ব্যাবস্থা যেমন করা হয়নি ঠিক তেমনি থাকা ব্যাবস্থা নিয়েও রয়েছে অনেক সমস্যা , অনেকে আবার এটাও দাবি করেছেন ব্যাবস্থাপনায় খুশি না হয়ে তারা বিভিন্ন গেস্ট হাউসে যেতেও বাধ্য হচ্ছেন। সার্বিক অভিযোগের তীর ক্রীড়া অধিকর্তা ধরণী দাসের দিকে। অভিযোগ ধরণী বাবু নাকি সমস্ত প্রকারের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে পরিকল্পিতভাবে রাজ্য ভিত্তিক এই দাবা আসরকে কলঙ্কিত করে চলেছেন। বলতে দ্বিধা নেই, সংস্কৃতির শহর তেলিয়ামুড়াতে রাজ্যভিত্তিক এই দাবা প্রতিযোগিতার অব্যাবস্থা একটা লজ্জাস্কর ইতিহাস রচনা করলো। এর পাশাপাশি তেলিয়ামুড়ার কর্মরত সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে গেলেও ন্যূনতম সৌজন্যতাটুকু দেখানো হয়নি, এই নিয়ে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়েই সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন তৈরি হয়। অন্যদিকে এই অসহ্যকর গরমে এত বড়ো রাজ্যভিত্তিক অনুর্ধ ১৪ এবং ১৭ বালক বালিকা আসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে পাখার ব্যাবস্থা করাও হয়নি। ফলে আমন্ত্রিত অতিথিদের একপ্রকার অসহ্যকর গরমে দম বন্ধ কর পরিস্থিতি হয়েছিল।



