তেলিয়ামুড়া খোয়াই নদীর জলে নবজাতক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে আছে গোটা এলাকায়। ঘটনা জানা যায় তেলিয়ামুড়া শহরের উপকণ্ঠে অর্থাৎ গোলাবাড়ি এলাকার খোয়াই নদীতে এক ব্যক্তি স্নান করতে এলে পচা দুর্গন্ধের হদিস পায়। সামনে এগিয়ে গেলেই জলের আবর্জনায় একটি সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু দেখতে পায় মৃত অবস্থায়। সঙ্গে সঙ্গে শান্তিনগর এলাকার সমস্ত লোকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায়। থানা থেকে পুলিশ গিয়ে উই মৃত সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুরা মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। অন্যদিকে সদ্যোজাত মৃতশিশু উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কার পাপের ফসল কোথা থেকে এলো তার পেছনে একাংশ চিকিৎসকরা কি জড়িত নয় যারা বিশাল টাকার বিনিময়ে প্রতিনিয়ত ভ্রুণ হত্যা করে চলছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। কারণ এই সমস্ত শিশুর জন্ম চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ দীর্ঘ প্রচলিত এই ব্রণ হত্যা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ঐতিহ্য থাকলেও ফলাও করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপানো হলেও একশ্রেণীর চিকিৎসকদের কোন কিছু যায় আসে না। বিগত কিছুদিন আগেও তেলিয়ামুরা পুরাতন হাসপাতালের সরকারি আবাসন ভাঙ্গার সময় তৎকালীন তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মনিন্দ্র কুমার মজুমদারের ব্যক্তিগত আবাসন থেকে উদ্ধার হয় নবজাতকের কঙ্কাল। অন্যদিকে কান পাতলেই শোনা যায় হাসপাতালের মধ্যে ভ্রুণ হত্যা শেষে একশ্রেণীর চিকিৎসকের মোটা অংকের টাকাকে স্ফিত করতে রোগীনিকে হাসপাতালের সরকারি ওষুধও ওই টাকার মধ্যেই সুস্থ হওয়ার জন্য দেওয়া হয়। যা প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা সমতলের গরীব অংশের মানুষ যদি কোন কারণে ওষুধের দরকার পরে নামমাত্র দিয়ে কিংবা না দিয়ে ওষুধ ক্রয় করার জন্য ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেওয়া হয়। যার ফল স্বরূপ খোয়াই নদীতে উদ্ধার হল নবজাতকের দেহ। তবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ থাকলেও অর্থাৎ হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠলেও ভারপ্রাপ্ত এসডিএমও চন্দন দেববর্মার কোন কিছু যায় আসে না। হাসপাতালের উন্নতিকল্পে বর্তমানে দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ করা হলেও উনারা প্রায়ইছি নিজের ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর থাকবেনই না কেন তাদের বাধা দেওয়ার কে আছে হাসপাতালের বড়বাবু চন্দন দেববর্মাই যখন হাসপাতালে না এসে নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন পয়সার বিনিময়ে অন্যরা তো এমনিতেই পার পেয়ে যাচ্ছে। তবে আর যাই হোক এই সদ্যোজাত শিশুর উদ্ধারের ঘটনায় ছি ছি রব উঠেছে তেলিয়ামুড়া হাসপাতাল চত্বরে।