বাংলার নববর্ষের দিন খোয়াই লাল ছড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ৩৫ উর্ধ্ব এক যুবক নিজ ঘরের আত্মহত্যা করল। ঐ যুবকের নাম অনন্ত বনিক পিতা মৃত নারু বনিক খোয়াই লালছড়া এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার বিবরণে এলাকাবাসীর সূত্র জানা যায় বাংলার নববর্ষ উপলক্ষে বাড়ির সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করবেতা তাই যথারীতি বাজার করে বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ফোন করে স্ত্রীর কাছে। শ্রী জানায় মেলাতে গিয়েছে। এবং অনন্ত জানায় ঠিক আছে মেলা শেষ করে আসার জন্য, অনন্তর স্ত্রী বাড়িতে এসে কোন এক বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয় এই কারণে অনন্তের স্ত্রী জানায় পরিবারের সবার সাথে নববর্ষের খাওয়া দাওয়া করতে পারবেনা এবং রান্নাও করতে পারবে না এই কথাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং আস্তে আস্তে বৃহৎ আকার ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত পরিবারের কেউ খাওয়া-দাওয়া করিনি। রাতের বেলা স্ত্রী যখন নিজ ঘরে যাইতে চাইছিল কিন্তু রাগের কারণে এক সময় অনন্ত স্ত্রীকে ঘরে আসতে দেয়নি এমনকি রাগের বশীভূত হয়ে অনন্ত তার স্ত্রীকে হুমকি প্রদর্শন করে যদি স্ত্রী ঘরে আসে তাহলে তাকে কেটে ফেলা হবে এবং মারধরও করা হবে সেই ভয়ে স্ত্রী শাশুড়ির ঘরে রাত্রিবেলা ঘুমোতে যায়। যদিও অনন্তর ছোট ভাই রাত্র ১১ টা নাগদ লক্ষ্য করে অনন্ত ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে। পরবর্তীতে কোন এক সময় পরিবারের সকলের অজ্ঞাতে গভীর রাতে সকালের বিবাদ কে কেন্দ্র করে নিজের ঘরে ফাঁসিতে আত্মহত্যার করে। মৃত অনন্তের দুটি সন্তান রয়েছে। একটি ছেলে একটি মেয়ে ছেলেটির বয়স ৮ বছর এবং মেয়ের বয়স পাঁচ বছর। জানা গেছে মৃত অনন্ত স্বর্ণের কারিগর ছিলেন নিজ বাড়িতে জিনিসপত্র বানিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ি বাজারে ব্যবসা করতো। এই আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা লাল ছড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।