সংবাদে প্রকাশ, মাইগঙ্গা এলাকার অটো চালক গৌতম কুমার শীল উত্তর মহারানীপুর থেকে তেলিয়ামুড়ায় অটো নিয়ে আসার পথে কৃষ্ণপুরের মালাকার বস্তি এলাকায় রাস্তার মাঝ বরাবর হাতির আক্রমণের শিকার হয়। সে জানায় হঠাৎই রাস্তার মাঝ বরাবর তার পথ আটকায় একটি বন্য হাতি এবং হাতিটি তার চলন্ত অটো গাড়ির সামনের কাঁচে আঘাত করে। তড়িঘড়ি করে প্রাণ বাঁচাতে হাতি থেকে পাশ কাটিয়ে আসার সময়ই হাতির আক্রমণে উল্টে যায় অটোটি। এতে আহত হয় অটোচালক গৌতম কুমার শীল। ঘটনার বিকট শব্দে ছুটে আসে এলাকার লোকজন এবং এলাকাবাসীদের চিৎকার চেঁচামেচিতে হাতিটি জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। তৎক্ষণাৎ পথ চলতি জনগণ সহ এলাকার লোকজনেরা আহত ওই অটো চালককে সেখান থেকে উদ্ধার করে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে খবর দিলে, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেই চলছে আহত ওই অটোচালকের চিকিৎসা। তবে প্রতিদিন অবশিষ্ট এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ধরে সন্ধ্যার পর হাতির আনাগুনায় যাত্রী সাধারনের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশকিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে গেছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে। ওই রাস্তা ধরে সন্ধ্যার পর বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হাতির আক্রমণ মোকাবেলা করার জন্য কোন ধরনের বিশেষ টহল নারীর ব্যবস্থাও নেই। তবে বনদপ্তর কর্তৃক বিগত দিনগুলি’তে অনুষ্ঠান করে সাংবাদিকদের ডাকিয়ে এনে হাতির শরীরে রেডিও কলার লাগিয়ে হাতির অবস্থান সম্পর্কে জানার উদ্যোগ গ্রহনের কথা ফলাও ভাবে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। যার কারনে হাতির অবস্থান সম্পর্কে আগাম কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে সন্ধ্যার পরই সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ধরে প্রতিনিয়ত হাতির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। যদি বনদপ্তর কর্তৃক সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো তাহলে এদিন আক্রমণের শিকার হয়ে অটো দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো না ওই অটো চালক’কে। হয়তোবা আজ অটোচালক অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরে এলো ওই এলাকা থেকে। যদি অতিদ্রুত তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের তরফ থেকে সঠিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে আগামী দিন এই বন্য দাঁতাল হাতির আক্রমণ আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষজনেরা।।