আর কিছুদিন পর ত্রিপুরা রাজ্যে হতে চলেছে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন । আর এই নির্বাচনের ভোট দান পর্বকে উৎসব মুখর করে গড়ে তোলার স্বার্থে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। যাতে রাজ্যের মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে পারে। রাজোর নির্বাচন দপ্তর সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করার জন্য সারা রাজ্যে রঙ্গোলির মাধ্যমে নির্বাচকমণ্ডলীকে আকৃষ্ট করার প্রয়াস নিয়েছে।এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্র নূপেন চক্রবর্তী এভিনিউ এলাকায় রঙ্গোলির ব্যবস্থা করা হয়। এই দিনের রঙ্গোলিতে অংশগ্রহণ করেন চিত্রকার কুন্তল নাথ শর্মা , অলক দাস এবং খোয়াইয়ের খুদে চিত্রশিল্পীরা। শেষে দুপুরে এই রঙ্গোলি দেখতে আসেন জেলাশাসক ডি কে চাকমা ও মহোকুমা শাসক বিজয় সিনহা। এই বিষয়ে জেলা শাসক ডি কে চাকমা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন এরই মধ্যে চলছে পৌষ সংক্রান্তি, যাকে কেন্দ্র করে অনেকের বাড়ি ঘরে রঙ্গোলীর আয়োজন করা হয়ে থাকে। রাজ্য নির্বাচন দপ্তর আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। সারা রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ,সমস্ত রাজ্যে চলছে রঙ্গোলির কর্মসূচি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ২০২৩ সালে হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে রাজ্যের জনগণ যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে শামিল হতে পারে এবং উৎসবের মেজাজে ভোট দান করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে খোয়াই জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বলেন ২০১৮ সালে নির্বাচনে ভোটের শতকরা হার ছিল ৯১.৪৪ শতাংশ । ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে যেন আরো বেশি ভোট পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য নিরাপত্তার বিষয়টিও বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গত এক মাস ধরে মোতায়েন করা হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোয়ানরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ভাবে টহলরত রয়েছে। এইদিকে জেলাশাসক ডি কে চাকমা এবং মহকুমা শাসক বিজয় সি্নহা রংতুলি হাতে নিয়ে রঙ্গোলি আঁকতে শুরু করেন । তাদের এই রঙ্গোলি আঁকা দেখে সেখানে ভিড় জমে যায় সাধারণ মানুষদের। জেলা শাসক ডি কে চাকমা বলেন এই রঙ্গোলি উৎসব চলবে আগামী দুদিন ব্যাপি। এছাড়া জেলাশাসক ডি কে চাকমা সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়টিকে নিয়ে প্রচার মাধ্যমের কাছে সাহায্য চাইছেন যাতে করে বিষয়টি জনসমক্ষে প্রচার হয় এবং এই বার্তাটি দেওয়ার জন্য যে প্রশাসন আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচক মন্ডলীদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন বিভিন্ন ভূত কেন্দ্রে গুলিতে তারা যাতে তাদের নির্বাচনী মতামত নির্ভয়ে ভোট বাক্সে প্রদান করতে পারে সেই বিষয়েও নজর রেখে চলেছে জেলাশাসক ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আসন্ন নির্বাচনকে প্রশাসন উৎসবমুখর করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে খোয়াইয়ের আপামোর সাধারণ মানুষ।