Thursday, July 3, 2025
বাড়িখবররাজ্যমা বোনেরা স্বনির্ভর হলেই ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে : কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়...

মা বোনেরা স্বনির্ভর হলেই ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে : কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বে এক শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর স্বপ্ন সশক্ত মা, সশক্ত ভারত। মা বোনেরা স্বনির্ভর ও শক্তিশালী হলেই ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কেন্দ্ৰীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের অর্থানুকুল্যে বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের মধ্যে কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথাগুলি বলেন। অনুষ্ঠানে ডিডিইউপিএসপি প্রকল্পে এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় ডুকলি, পুরাতন আগরতলা এবং বামুটিয়া ব্লকের ৪টি স্বসহায়ক দলের মধ্যে ৪টি মুড়ি তৈরীর মেশিন, ৮৫টি স্বসহায়ক দলের মধ্যে ৮৫টি হাতে চালানো ধান মাড়াই যন্ত্র এবং ৮৫ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৮৫টি ব্যাটারি চালিত স্পেয়ার মেশিন বিতরণ করা হয়। প্রতিটি কৃষি ও অন্যান্য যন্ত্র পিছু যথাক্রমে ব্যয় হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা, ৭ হাজার টাকা ও ৫ হাজার টাকা করে। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, মায়েরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হলেই গ্রাম, সমাজ, রাজ্য ও দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এই লক্ষ্যে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উদ্যোগে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৪০ হাজার স্বসহায়ক দল গঠন করা হয়েছে। এতে যুক্ত রয়েছেন সাড়ে ৪ লক্ষ মহিলা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে স্বসহায়ক দল ছিল মোট ৪ হাজার। বর্তমানে স্বসহায়ক দলগুলিকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার জন্য ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিভলভিং ফান্ড দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এককালীন স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এই সরকার রোজগারের সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছে। আপনারা স্বনির্ভর হোন, অন্য মা বোনদেরও উৎসাহিত করুন। তবেই আজকের এই উদ্যোগ সার্থক হয়ে উঠবে। সভাপতির ভাষণে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মহিলাদের আরও অগ্রণী ভূমিকা নেবার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার শুধু মহিলাদের আর্থিক উন্নয়ন নয়, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক প্রসাদ রায় ভাদারপু, সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অব কালচারাল কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান কমল দে এবং কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তরের উপঅধিকর্তা উত্তম দাস। স্বাগত ভাষণ দেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সচিব বিষ্ণুপদ রায়। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সুরঝর্ণা সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ। অনুষ্ঠান শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ অতিথিগণ স্বসহায়ক দল ও সুবিধাভোগীদের হাতে বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি তুলে দেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 × 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য