বিজেপির বিজয় রথযাত্রা এগিয়ে যাবে, বিরোধীদের যাত্রা হবে শ্মশানে। রাজ্যব্যাপী রথযাত্রার মানুষ দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছে। খোয়াইতে একটা সময় ছিল খুন সন্ত্রাসের আতুর ঘর। মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে মানুষ তার স্বাধীনতায় ফিরে পেয়েছে। এমনটাই উক্তি করলেন মঙ্গলবার দুপুরে বিজয় সংকল্প ও জন সমাবেশে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই কথাগুলি বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এদিন বেলা দুইটায় খোয়াই আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জনবিশ্বাস রথ এসে পৌঁছায় খোয়াই শহরে। খোয়াইয়ের নৃপেন চক্রবর্তী এভিনিউ সংলগ্ন মোহর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জনসমাবেশ অনুষ্ঠানটি। সমাবেশ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মহেন্দ্র সিং, বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার জেলা সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস, তাপস কান্তি দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। সমাবেশ কে সম্বোধন করে প্রথমে বক্তব্য রাখেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। সমাবেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মহেন্দ্র সিং বলেন লোহা গলানো সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। মরুভূমিতে গাছ লাগানো এবং স্বচ্ছ মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করা সকলের পক্ষে সম্ভব না। একজন সৎ স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ব মানিক সাহার মতন ব্যক্তিত্বকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনাদেরকে উপহার দিতে পেরেছি। তিনি বলেন ত্রিপুরা অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষের ত্রিপুরা এক নাম্বার রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠবে। মোদিজীর নেতৃত্বে আজ ভারতবর্ষ দুনিয়া জুড়ে সুনাম অর্জন করে চলেছে। কেউ যদি ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকায় তার চোখ উপরে ফেলা হবে। ভারতে দুর্নীতি ভস্টাচারের জায়গা নেই। খুন সন্ত্রাস বন্দ। ত্রিপুরা এগিয়ে যাবে উন্নতির লক্ষ্যে। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন ২০১৮ তে মোদিজীর পথ দর্শনে রাজ্যে পরিবর্তণ এসেছে। চারদিকে চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। বিগত দিনে মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারতো না। মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের বাক স্বাধীনতা পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এখন মানুষ কথা বলতে পারেন নিজের সুখ দুঃখ এবং অসুবিধা প্রকাশ্যে বলতে পারেন। একটা সময় ছিল চাঁদার নামে জুলুমবাজি করেছে বাম সরকার। কোন কর্মচারী যদি চাঁদা দিতে না পারতেন বা অক্ষমতা প্রকাশ করতেন তবে তাকে দূর দূরান্তে বদলি করা হতো। এখন কাউকে ভয়ে থাকতে হয় না। কর্মচারীদের এই সরকার আসার পর তিন শতাংশ ৫ শতাংশ এবং ১২ শতাংশ মোট কুরি শতাংশ ডিএ প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক ভাতা পূর্বে ছিল ৭০০ টাকা বর্তমান সরকার ক্ষমতাশীন হওয়ার পর ২০০০ টাকা ভাতা করা হয়েছে। রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বিকল্প জাতীয় সড়ক থেকে শুরু রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন এখনো যারা বিরোধী শিবিরে রয়ে গেছেন তাদের জন্য রেলের ডাব্বা খোলা রয়েছে। এখনো সময় আছে । আপনারা চলে আসুন। মোদীজি ভারতবর্ষকে আধুনিক ভারত হিসেবে গড়ে তুলবে। কংগ্রেস এবং সিপিএম সম্পর্কে তিনি বলেন সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মানুষ তাদের চক্রান্তে যেন শামিল না হন সেইদিকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। সবশেষে খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি হয়ে যিনি মনোনীত হবেন সেই প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে বিধানসভার প্রেরণ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান রাখেন।