Wednesday, July 2, 2025
বাড়িখবররাজ্যপালিত হল খোয়াই অফিসটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী...

পালিত হল খোয়াই অফিসটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব।

৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার দুপুরে খোয়াই অফিস টিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালিত হল স্থানীয় স্কাইলার্ক ক্লাবের সহযোগিতায়। এই সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খোয়াই পুরো পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিবাস সাহা মহাশয়, এছাড়া অনুষ্ঠানের মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রবেন দেববর্মা, খোয়াই মহিলা থানার ইনচার্জ মিনা দেববর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস, এই স্কুলের এস এম সি কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাথ সাহা, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা দেববর্মা সহ আরো অনেকে। স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানটি প্রদিপ্ উজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হওয়ার পর উপস্থিত সবাই মিলে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এছাড়া এদিন অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন ছিলেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা এছাড়া স্কুলের বিভিন্ন কর্মচারী শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক রাও উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে ফুলের তোড়া, মানপত্র, ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত সবাই একে একে বক্তব্য রাখেন শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার বলেন এই স্কুলটি ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয়েছিল আজ তার ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালিত হচ্ছে। এই স্কুলের স্থাপত্যের পিছে যাদের সবচেয়ে বেশি হাত ছিল এরা ছিলেন শিক্ষক অবিনাশ চক্রবর্তী এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্র চন্দ্র দাস, শিক্ষক কৃষ্ণধন গোস্বামী শিক্ষক শ্রীধর গোস্বামী এই চারজনে মিলে ১৯৭২ সালে স্কুলটিকে স্থাপন করেছিলেন। যদিও বর্তমান সময়ে সেই স্থাপত্যকার চারজন শিক্ষকই বর্তমান সময়ে জীবিত নেই এরপরও বর্তমান সময়ের শিক্ষকরা উনাদের কথা স্মরণ করতে ভুলেননি। সুব্রত মজুমদার এও বলেন এই স্কুল থেকে প্রচুর সংখক গুণবান ছাত্র ছাত্রী বেরিয়ে গেছে এবং এরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে আজও। একটি স্কুলই পারে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে আশার আলো দেখিয়ে সঠিক পথ নির্দেশনের মাধ্যমে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকেরা অগাধ পরিশ্রম করে থাকেন যার ফলে ভবিষ্যতে ও ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করে সমাজে। এই সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ইস্কুলের যেসব অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন ওরা খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত ছিলেন কারণ এই স্কুলে চাকরি করে একটা সময় অবসর নিয়েছেন এবং এই স্কুলেরই সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে এবং উপস্থিত হয়ে খুবই আনন্দিত হন। এমনও শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেখা গেছে যারা জীবন সায়ান্নের দারগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই নিমন্ত্রণ পেয়ে ওরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে আর এতে করে আগত সমস্ত শিক্ষক রাই ব্যাপক খুশি। অনেক শিক্ষক-শিক্ষা করা জানান এমন অনেক রয়েছেন যারা জীবিত কিন্তু চলাফেরা করতে পারেনা যার কারণে ওরা এই অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি এদের কেউ নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল ওরা উত্তরে স্কুলের স্ত্রী বৃদ্ধি কামনা করেছেন। এই দিন স্কুলের সুবর্ণ জন্তুী অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন এবং কচিকাঁচার বিভিন্ন নৃত্য ও আবৃতি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে সমস্ত অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদেরকে নিয়ে এক মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

seventeen + 9 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য